মাধ্যমিকের পর কোন স্ট্রিমে গেলে ভালো হবে?

মাধ্যমিকের পর কোন কোর্সে গেলে ভালো হবে, তা নির্ভর করে আপনার আগ্রহ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আপনি কী ধরনের পেশা বেছে নিতে চান তার উপর।

এখানে কিছু জনপ্রিয় কোর্সের বিকল্প আলোচনা করা হলো:

উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary)

বিজ্ঞান বিভাগ (Science Stream): যদি আপনি ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো পেশায় যেতে চান, তাহলে এই বিভাগটি আপনার জন্য উপযুক্ত। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিত – এই বিষয়গুলি এখানে পড়ানো হয়।

কলা বিভাগ (Arts/Humanities Stream): ইতিহাস, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে আগ্রহ থাকলে আপনি এই বিভাগটি বেছে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, আইন বা সমাজসেবামূলক পেশায় যেতে চাইলে এটি ভালো বিকল্প।

* বাণিজ্য বিভাগ (Commerce Stream): যদি আপনি ব্যবসা, অর্থনীতি, হিসাবশাস্ত্র বা ফিনান্সের মতো ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে এই বিভাগটি আপনার জন্য।ভোকেশনাল কোর্স (Vocational Courses):

* মাধ্যমিকের পর বিভিন্ন বৃত্তিমূলক কোর্স রয়েছে যা আপনাকে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে সাহায্য করবে এবং দ্রুত চাকরির সুযোগ করে দিতে পারে। কিছু জনপ্রিয় ভোকেশনাল কোর্স হল:

* আইটিআই (Industrial Training Institutes) কোর্স: এখানে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যেমন – ইলেকট্রিশিয়ান, ফিটার, মেকানিক, ওয়েল্ডার ইত্যাদি। এর মাধ্যমে কারিগরি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ বাড়ে।

* পলিটেকনিক কোর্স (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং): এটি তিন বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স। এই কোর্স শেষ করার পর আপনি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেতে পারেন অথবা বি.টেক-এ ভর্তি হতে পারেন।

* অন্যান্য ভোকেশনাল কোর্স: হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম, ফ্যাশন টেকনোলজি, টেক্সটাইল টেকনোলজি, নার্সিং, ফার্মাসি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে।

অন্যান্য কোর্স:

* কিছু শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের পর সরাসরি কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চান। তাদের জন্য বিভিন্ন শর্ট-টার্ম ট্রেনিং প্রোগ্রাম বা সার্টিফিকেট কোর্স উপলব্ধ রয়েছে যা দ্রুত চাকরি পেতে সাহায্য করে।

কোর্স নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

* আপনার আগ্রহ: যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ আছে, সেই বিষয়ে পড়াশোনা করলে আপনি সেটি উপভোগ করবেন এবং ভালো ফল করবেন।

* আপনার দক্ষতা: আপনার মধ্যে কী কী বিশেষ দক্ষতা রয়েছে, তা বিবেচনা করে কোর্স নির্বাচন করলে ভবিষ্যতে সুবিধা হবে।

* ভবিষ্যতের সুযোগ: কোন কোর্সের ভবিষ্যৎ চাহিদা কেমন, তা জেনে কোর্স নির্বাচন করা বুদ্ধিমানের কাজ।

* পেশাগত লক্ষ্য: আপনি ভবিষ্যতে কোন ধরনের পেশায় নিজেকে দেখতে চান, তার উপর নির্ভর করে কোর্স নির্বাচন করা উচিত।আমার পরামর্শ থাকবে, আপনি আপনার আগ্রহ এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কোর্সের সুযোগ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। প্রয়োজনে আপনার শিক্ষক বা পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।

Comments/ Suggestions

%d bloggers like this: