পশ্চিমবঙ্গের সেরা কৃষি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে কয়েকটি হল:
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়:
* বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BCKV), কৃষ্ণনগর, নদিয়া:

এটি রাজ্যের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে স্বনামধন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। এখানে কৃষি, উদ্যানপালন এবং কৃষি প্রকৌশল-এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি প্রোগ্রাম রয়েছে। গবেষণার ক্ষেত্রেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
* উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (UBKV), পুণ্ডিবাড়ি, কোচবিহার:
উত্তরবঙ্গের কৃষি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে কৃষি, উদ্যানপালন এবং কৃষি প্রকৌশল বিভাগ রয়েছে।
* কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়:
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কিছু কলেজে কৃষি বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে, যা মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করে।
* বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন:
এখানে কৃষি বিজ্ঞান এবং গ্রামীণ উন্নয়ন সম্পর্কিত কিছু কোর্স চালু আছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ:
* সীকম স্কিলস ইউনিভার্সিটি:
এটি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে কৃষি শিক্ষা প্রদান করা হয়।
* ব্রেইনওয়ার ইউনিভার্সিটি:
এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিতেও কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
* দ্য নিওটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়:
এটিও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি শিক্ষা প্রদান করে।
* Sister Nivedita University (SNU):
এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে।
* JIS University: এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিতেও কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে।
* স্বামী বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটি: এটি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে কৃষি শিক্ষা প্রদান করা হয়।এছাড়াও আরও অনেক সরকারি ও বেসরকারি কলেজ রয়েছে যেখানে কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা যায়। আপনার আগ্রহ, সুযোগ এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে আপনি যে কোনও একটি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে পারেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তাই ভর্তির আগে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া আবশ্যক।
পশ্চিমবঙ্গের এগ্রিকালচারাল কলেজগুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া
সাধারণত দুটি প্রধান পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়:
১. প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে:
* অনেক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে সর্বভারতীয় বা রাজ্য স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হয়। কিছু উল্লেখযোগ্য প্রবেশিকা পরীক্ষা হল:
* ICAR AIEEA (Indian Council of Agricultural Research All India Entrance Examination): এটি জাতীয় স্তরের পরীক্ষা এবং দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) এই পরীক্ষা পরিচালনা করে।
* CUET (Common University Entrance Test): কিছু কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য স্তরের বিশ্ববিদ্যালয় এই পরীক্ষার মাধ্যমে কৃষি কোর্সে ভর্তি নেয়।
* এছাড়াও, কিছু রাজ্য নিজস্ব কৃষি প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজন করে থাকে। আপনাকে সেই রাজ্যের পরীক্ষার বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে।
* প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য সাধারণত পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গণিত অথবা কৃষির উপর প্রশ্ন থাকে।
* পরীক্ষার ফলাফল এবং র্যাঙ্কের ভিত্তিতে কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে প্রার্থীদের পছন্দের কলেজ এবং কোর্স বন্টন করা হয়।
২. মেধা তালিকা (Merit-Based Admission):
* কিছু কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক (10+2) পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করে ভর্তি নেওয়া হয়।
* এই ক্ষেত্রে, বিজ্ঞান বিভাগে (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান/গণিত/কৃষি) ভালো নম্বর থাকা আবশ্যক।
* কলেজগুলি তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী মেধা তালিকা প্রকাশ করে এবং সেই অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।ভর্তির জন্য সাধারণ যোগ্যতা:
* প্রার্থীদের অবশ্যই কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান/গণিত/কৃষি) উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
* কিছু কলেজে ন্যূনতম নম্বরেরRequirement থাকতে পারে (সাধারণত ৫০% এবং সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য কিছুটা ছাড় থাকে)।ভর্তির প্রক্রিয়া:
* কলেজ নির্বাচন: প্রথমে আপনাকে আপনার পছন্দের কৃষি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নির্বাচন করতে হবে।
* আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা: নির্বাচিত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ও আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
* প্রবেশিকা পরীক্ষা (যদি প্রযোজ্য হয়): যদি কলেজ প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নেয়, তাহলে আপনাকে সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সিলেবাস এবং অন্যান্য তথ্য কলেজের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন।
* ফলাফল প্রকাশ: প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল বা মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
* কাউন্সিলিং (যদি প্রযোজ্য হয়): প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীদের কাউন্সিলিং-এর জন্য ডাকা হতে পারে। এই সময় প্রার্থীদের তাদের র্যাঙ্ক এবং পছন্দের ভিত্তিতে কলেজ ও কোর্স নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হয়।
* ভর্তি নিশ্চিতকরণ: আসন বরাদ্দ হওয়ার পর, প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে এবং নথিপত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র (সাধারণত): * মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট। * প্রবেশিকা পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ও স্কোর কার্ড (যদি থাকে)। * পরিচয়পত্র (যেমন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড)। * ঠিকানার প্রমাণপত্র। * জাতিগত শংসাপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)। * পাসপোর্ট সাইজের ছবি।পশ্চিমবঙ্গের সেরা কৃষি কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য, আপনাকে নিয়মিতভাবে সেই কলেজগুলির ওয়েবসাইট এবং ভর্তির বিজ্ঞপ্তিগুলি অনুসরণ করতে হবে। ভর্তির সময়সীমা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেখানে উল্লেখ করা থাকে।