আপেল খাওয়ার আগে জানা দরকার / আপেল এর গুণাবলী/কেন আপেল খাবেন?

ইংলিশ- এ একটি প্রবাদ আছে “An apple a day keeps a doctor away”. হ্যাঁ সত্যিই যদি আপনি প্রতিদিন একটি করে আপেল খান তাহলে ডাক্তার কে আপনার বাড়িতে কিন্তু আর আসতে হবে না।

আপেল একটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্যকর ফল। নানারকম পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফল।
আপেলের 10 টি চিত্তাকর্ষক উপকারিতা:

  1. আপেলের পুষ্টিগুণ:
    একটি মাঝারি আপেল – প্রায় 3 ইঞ্চি (7.6 সেন্টিমিটার)।
    একটি মাঝারি আপেল – 182 গ্রাম – নীচের পুষ্টিগুলি সরবরাহ করে:
    ক্যালোরি: 95
    কার্বোহাইড্রেট: 25 গ্রাম
    ফাইবার: 4 গ্রাম
    ভিটামিন সি: দৈনিক গ্রহণের 14% (আরডিআই)
    পটাশিয়াম: আরডিআইয়ের 6%
    ভিটামিন কে: আরডিআইয়ের 5%।
    এছাড়া আপেলের মধ্যে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ভিটামিন B1 B2 এবং B6 থাকে। আপেল পলিফেনলের সমৃদ্ধ উত্স।
  2. ওজন কমাতে /উজ্জ্বল ত্বক পেতে
    বর্তমান দিনে আমাদের সবার কাছে শরীরের ওজন কমানোো এক ফ্যাশন হয়ে গেছে। আমরা আমাদের ওজন কমিয়ে স্লীম ও সুন্দর হওয়ার চেষ্টা করি। ওজন কমাতে ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে আপেল বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করতে পারে। আপেলে ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বেশি। উচ্চ ফাইবারযুক্ত হওয়ার কারণে আপেলের এই বিশেষ গুণ দেখা যায়।
  3. হৃদরোগে উপকার : আপেল হৃদরোগীদের পক্ষে খুবই উপকারী। আপেলে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে হ্রাস করতে সহায়তা করে। আপেলে পলিফেনলও রয়েছ যা রক্তচাপ ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
  4. ডায়াবেটিস রোগীদের পথ্য:
    প্রতিদিন নিয়মিত আপেল সেবন আপনাকে ডায়াবেটিস থেকে অনেকটাই দূরে রাখে। আপেলের মধ্যে অবস্থিত পলিফেনোল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  5. ক্যান্সার প্রতিরোধ:
    ক্যান্সারের মতন মারণ রোগ প্রতিরোধে আপেলের জুড়ি মেলা ভার। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে আপেলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
  6. হাঁপানি প্রতিরোধ :
    অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আপেল আপনার ফুসফুসকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। আপেলের ত্বকে ফ্ল্যাভোনয়েড কোরেসেটিন রয়েছে যা ইমিউন সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করতে পারে। এই দুটি উপায় যা এটি হাঁপানি এবং অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারে।
  7. উচ্চ ঘনত্ব যুক্ত হাড় :
    যদি আপনি উচ্চ ঘনত্ব যুক্ত হাড় বা শক্তিশালী হাড়ের মালিক হতে চান তাহলে নিয়মিত সেবনে ভুলবেন না। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগগুলি হাড়ের ঘনত্ব এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
  8. মস্তিষ্ক এর সুস্বাস্থ্য : মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্ক সচল রাখতে নিয়মিত আপেল সেবন দরকার। আপেল সেবন সরাসরি শারীরিক সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
  9. Immunity Power। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
    ইমিউনিটি পাওয়ার বা অনাক্রমতা শক্তি বৃদ্ধিতে আপেল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আপেলের রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল যা সহজেই নানারকম রোগজীবাণু থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে। ডায়েটে নিয়মিত আপেল গ্রহণ একজন ব্যক্তির ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
  10. লিভার পরিষ্কার রাখে
    আপেলের মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই লিভারের কারণে যে সমস্ত রোগ হয় গলব্লাডারে পাথর, জন্ডিস, ইত্যাদি থেকে আমরা সহজেই রক্ষা পেয়ে যাই

Comments/ Suggestions

Scroll to Top
%d bloggers like this: