পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলিতে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (UG) স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। অধিকাংশ সরকারি ও সরকার পোষিত কলেজে ভর্তির জন্য একটি কেন্দ্রীয় পোর্টাল (Centralised Admission Portal)

পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলিতে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (UG) স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। অধিকাংশ সরকারি ও সরকার পোষিত কলেজে ভর্তির জন্য একটি কেন্দ্রীয় পোর্টাল (Centralised Admission Portal)

পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলিতে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (UG) স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এই বছর থেকে অধিকাংশ সরকারি ও সরকার পোষিত কলেজে ভর্তির জন্য একটি কেন্দ্রীয় পোর্টাল (Centralised Admission Portal) ব্যবহার করা হচ্ছে।

ভর্তি শুরুর তারিখ ও সময়সূচী (২০২৫):

* পোর্টাল উদ্বোধন: ১৭ জুন, ২০২৫ (মঙ্গলবার) দুপুর ২টায়।

* অনলাইনে আবেদন শুরু: ১৮ জুন, ২০২৫ (বুধবার) দুপুর ২টা থেকে।

??????????????????????????????????????

* আবেদনের শেষ তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫।

* প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ: ৬ জুলাই, ২০২৫।

* প্রথম দফার ভর্তি (মেরিট লিস্টের ভিত্তিতে): ৬ জুলাই থেকে ১২ জুলাই, ২০২৫।

* আপগ্রেড রাউন্ডের মেধা তালিকা প্রকাশ: ১৭ জুলাই, ২০২৫।

* আপগ্রেড রাউন্ডের ভর্তি: ১৭ জুলাই থেকে ২০ জুলাই, ২০২৫।

* সশরীরে নথি যাচাইকরণ (Physical verification): ২৪ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই, ২০২৫।

* নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু: ১ আগস্ট, ২০২৫।

দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তি (Mop-up Round):

* শূন্য আসনের তালিকা প্রকাশ: ২ আগস্ট, ২০২৫।

* নতুন আবেদন / প্রথম ধাপে আসন না পাওয়া বা বাতিল হওয়া আবেদনকারীদের জন্য আবেদন: ২ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট, ২০২৫।

* মেধা তালিকা ও আসন বরাদ্দ তালিকা প্রকাশ: ১৪ আগস্ট, ২০২৫।

* দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তি: ১৪ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট, ২০২৫।

* দ্বিতীয় পর্যায়ের আপগ্রেড রাউন্ডের মেধা তালিকা প্রকাশ: ২১ আগস্ট, ২০২৫।h

* দ্বিতীয় পর্যায়ের আপগ্রেড রাউন্ডের ভর্তি: ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট, ২০২৫।

* দ্বিতীয় পর্যায়ের সশরীরে নথি যাচাইকরণ: ২৮ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

ভর্তির প্রক্রিয়া:

১. অনলাইন আবেদন (Online Application):* ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কেন্দ্রীয় ভর্তি পোর্টাল (wbcap.in) অথবা সংশ্লিষ্ট কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে (যদি তারা কেন্দ্রীয় পোর্টালের আওতায় না থাকে) গিয়ে আবেদন করতে হবে।

* আবেদন করার জন্য পোর্টালটিতে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

* প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য ও শিক্ষাগত বিবরণ (উচ্চমাধ্যমিকের মার্কস) দিতে হবে।

* শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ২৫টি কলেজ ও কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।

২. প্রয়োজনীয় নথি (Documents Required): আবেদন করার সময় নিম্নলিখিত নথিগুলির ডিজিটাল কপি প্রস্তুত রাখা উচিত:

* উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট (মূল এবং জেরক্স কপি)।* জন্মের প্রমাণপত্র বা মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড।* আধার কার্ড।* কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)।* ছবি ও স্বাক্ষর।* সক্রিয় মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি।* ব্যাঙ্ক পাসবুক (নিজের)।* স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট।* মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)।

৩. আবেদন ফি (Application Fee):

আবেদন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি অনলাইনে জমা দিতে হতে পারে।

৪. মেধা তালিকা প্রকাশ (Merit List Publication): আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর, উচ্চমাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকা কেন্দ্রীয় পোর্টালে এবং সংশ্লিষ্ট কলেজের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।

৫. আসন বরাদ্দ ও ভর্তি (Seat Allotment & Admission):* মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ করা হবে।* আসন বরাদ্দ হলে, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তির ফি জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে পারবে।* কোনো শিক্ষার্থী যদি তার পছন্দের কলেজে বা কোর্সে সুযোগ না পায়, তবে আপগ্রেডেশনের সুযোগ থাকবে।

৬. নথি যাচাইকরণ (Document Verification): ক্লাস শুরু হওয়ার আগে বা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজে গিয়ে সশরীরে মূল নথিগুলি যাচাই করাতে হবে। কেন্দ্রীয় পোর্টালে ভর্তির ক্ষেত্রে, ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন সশরীরে কাউন্সেলিং বা নথি যাচাইয়ের জন্য ডাকা হবে না।গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:

* কেন্দ্রীয় পোর্টালের বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠান: যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, স্বশাসিত কলেজ, সংখ্যালঘু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসি, নার্সিং, সেল্ফ ফিনান্সিং এবং বেসরকারি কলেজগুলি এই কেন্দ্রীয় পোর্টালের আওতার বাইরে থাকবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেখতে হবে।

* শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও স্নাতকোত্তর কোর্স: বিএড, বিপিএড, এমএড, এমপিএড এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সের জন্য এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য নয়। উচ্চশিক্ষা দপ্তর এর জন্য পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।

* হেল্পলাইন: আবেদন প্রক্রিয়ার সুবিধার জন্য পোর্টালে ইউজার ম্যানুয়াল এবং টিউটোরিয়াল থাকবে। প্রয়োজনে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।সর্বশেষ এবং সবচেয়ে নির্ভুল তথ্যের জন্য, শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং তারা যে কলেজগুলিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, সেই কলেজগুলির ওয়েবসাইটগুলি দেখতে হবে।

Comments/ Suggestions

%d bloggers like this: